Tuesday, January 28, 2020

খোঁজে পাবে আমায়

"খোঁজে পাবে আমায়"


প্রিয়তমা,
যদি কখনো আমায়
মনে পরে তোমার
নির্জন রাতের ঐ আকাশে
লাখো তারার ভিড়ে
রুপালী চাঁদের সৌন্দর্য
তুমি দেখে নিও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।

হাজারো ফুলের মেলায়
হাতে তুলে নিও তুমি
একটি রক্তগোলাপ,
রক্তগোলাপের সেই 
রক্তিমতার শোভা
তুমি দেখে নিও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।

উত্তাল সাগরের উর্মিতে
আনমনে চোখ ভুলিয়ে নিও,
ঐ উর্মির স্রোতে তুমি
কল্পনায় ভেসে যেও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।

প্রতিটা নিশিতে তুমি
গভীর ঘুমের মাঝে
অন্তহীন স্বপনে ডুবে যেও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।

তোমার শ্রান্ত-ক্লান্ত দেহটিকে
বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টিতে
শিথিল করে নিও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।

শিশিরসিক্ত ঘাসের গালিচায়
নগ্ন পায়ে চলিও
কখনোবা ঐ গালিচায় বসে
শিশিরের হাঁসির খেলায়
নিজেকে জড়িয়ে নিও
জেনে রেখো, ঐ খানেই তুমি
খোঁজে পাবে আমায় ।।

Saturday, January 25, 2020

"আজ কেন দূরে সরো ?" -Poem




"আজ কেন দূরে সরো ?"


কই সেদিনতো ফিরিয়ে দাওনি,
সেদিন যখন কামদেবের পূজায়-
    মগ্ন ছিলাম দুজনে ।
তখনতো না বলনি ।

সেদিন যখন তোমার ঠোটে
আমার ঠোট রেখেছিলাম,
তোমাকে আমার বুকে জড়িয়ে
           -নিয়েছিলাম,
তখনতো বাঁধা দাওনি ।

তবে আজ কেন তুমি
এভাবে দূরে সরো ?
আমি যতই এগোতে চাই
তুমি ততই দূরে সরে যাও ।

যখন দুজনে মিলন সুখের বন্যায়
ছোট্ট ভেলায় একসাথে ভাসতাম ।
তখনতো বলোনি আমার সাথে
এ সুখের বন্যায় তুমি ভাসতে
            -চাওনা ।

আজ যখন কামদেবের পূজার
সমস্ত আয়োজন সমাপ্ত
ঠিক তখনি তুমি পূজারিণী হয়ে
আমার পাশে থাকতে চাওনা ।

Saturday, January 11, 2020

ফাগুন বাতাস আমায় করোনা উদাস-Poem



"ফাগুন বাতাস আমায় করোনা উদাস"


(17 Falgun 1414)



fagun-Falfun


ফাগুন বাতাস আমায় করোনা উদাস......,
উদাসী হলে,
কি করে দেখবো স্মৃতির আয়নাতে
আমার প্রিয়ার সেই প্রথম যৌবনের ছবি ?
যাকে দেখেছিলাম সেই প্রথম
কোন এক আশ্বিণের দিনে ।

উদাসী হলে ফাগুনের এই জোছনা রাতে
হৃদয়ের সাদা ক্যানভাসে কি করে আঁকবো প্রিয়ার ছবি,
কুকিলের কুহুতানে চমকে উঠবোনা প্রিয়ার কণ্ঠ বলে,
আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধেও
মনে হবে না এযে-
প্রিয়ার দেহের সেই টাটকা গন্ধ ।

উদাসী হলে,
রবে না মনে প্রিয়ার স্মৃতি,
প্রিয়ার চোখে পরবে না চোখ,
পাবোনা খুঁজে প্রিয়ার চোখের ভাষা ।

Tuesday, January 7, 2020

Picnic at Jamuna Resort With Metro Family

Picnic at Jamuna Resort With Metro Family

Date: 21st February 2013


গত 21শে ফেব্রুয়ারী 2013 সনে আমরা অফিস থেকে যমুনা রিসোর্ট পিকনিক করতে যাই।
তখন তোলা কিছু ছবি শেয়ার করলাম
Jubayer, Rinto Da, Sumon Vai, Rashed Vai & Me



With my Colleagues


In Sunny Day

Group Photo-01

Pose-01

Pose No-02

Pose No-03

Lonely Boy

With Jubayer

Playing Football

Group Photo-02

Group Photo-03

With Sunny

Beside of Jamuna Bridge
Sumon-Sutradhar


Sumon-Sutradhar


Shamshernagar Journey 2017


গত 2017 সালের জানুয়ারী মাসের শেষ দিকে শমশের নগর(মৌলভীবাজার) ঘুুরতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের সকল সৌন্দর্য যেন সিলেটেই রয়েছে।

শমশের নগর অবস্থিত (ঢানকান ব্রাদার্স এর শমশেরনগর চা-বাগান ঘুরার সময় আমার ভাই শুভ-দূর্জয়ের ক্যামেরায় কিছু ছবি তোলা হয়েছিল। যা এখানে শেয়ার করা হল।

শুভ এবং আমি

পোজ

বুকের পাটা হেব্বি স্ট্রং :পি😆

ছাটাই করা চা গাছের পাশে

গলফ মাঠ ও রাবার বাগান এর মাঝে

রাবার বাগানে

ক্লান্তির অবসান, একটু বিশ্রাম

ছবি তোলার জন্য পোজ ধরা হয়েছে। :পি 😝

কুয়াশায় ঢাকা সূর্য মামা

ব্রিজের উপর

প্রশান্তির হাঁসি


Sunday, January 5, 2020

খুঁজে ফিরি তোমাকে-Poem


"খুঁজে ফিরি তোমাকে"

Khuje-Firi-Tumake


পূর্ণিমা রাতের চাঁদের সৌন্দর্যে
খুঁজে ফিরি তোমার
মনোহারিণী সেই রুপ ।

প্রভাতে পাখির সুমধুর কলতানে
খুঁজে ফিরি তোমার
সেই মিষ্টি কণ্ঠস্বর ।

গোলাপের পাপরির মাঝে
খুঁজে ফিরি তোমার
সেই রঞ্জিত দুটি ঠোট ।

শীতের সকালে ঘাসের ডগায়
প্রতিটা শিশির কণার ঝলকানিতে
খুঁজে ফিরি তোমার
সেই মুক্তো ঝড়ানো হাঁসি ।

প্রতিটা অফুটন্ত কুসুমকলিতে
খুঁজে ফিরি তোমার
মায়াবী দুটি চোখ ।

বর্ষার বারিধারায় কিংবা
ফাগুনের মৃদুমন্দ বাতাসে
খুঁজে ফিরি তোমার
কোমল ছোঁয়া ।

এখন বুঝি-Poem

"এখন বুঝি"


Ekhon-Buji


নীল জোছনায় তুমি বসেছিলে নিরবে,
সামনে যেতেই দেখি
চোখ দুটি জলেতে ভেজা,
জানতে চেয়েচিলাম, হয়েছে কি?

কিছুই বলনি তুমি
শুধুই চেয়েছিলে চোঁখে চোঁখ রেখে,
সেদিন বুঝেছিলাম তোমার চোঁখ
জোছনার চেয়েও সুন্দর ।

হাতে হাত রেখে বসিয়েছিলে,
কি যেন বলতে চাও--- ।
কিন্তু মুখে কোন কথা স্বরে না ।
একসময় বলেছিলে,
"কেন যে তোমায় বুঝে নিতে পারিনা---?" 

সেদিন বুঝিনি ঠিকই, কিন্তু
এখন বুঝি তোমার মনের অব্যক্ত ভাষাটি,
শুধু তুমি নও
আজ আমিও যে ভালবাসি ।

তাইতো এমন জোছনারাতে
তোমার জন্য অগুচরে
চোখের পাতায় দুফোঁটা অশ্রু
টলমল করে ।,

তুমি আমারি থেকো চিরদিন - Poem

"তুমি আমারি থেকো চিরদিন"


Tumi-Amari-Theko-Chirodin

তোমাকে কল্পনায়
আমার রাণী হিসেবেই ভাবতাম ।
কখনো বাস্তব জীবনে ভাবিনি,
তোমাকে ভেবেই কেটে গেছে
আমার কতরাত ।

ভেবেছিলাম তুমি আমার জীবনে
কখনো বাস্তব হয়ে আসবেনা ।
কিন্তু আজ যখন তুমি
তোমার নরম হাতটি
আমার হাতে রেখেছিলে,
তখন মনে কি যে শিহরণ
জেগেছিল !

আজ যেভাবে আমার হাতে
তোমার হাতটি রেখেছো,
চিরদিন কি এভাবেই
হাতে হাত রেখে চলবে?
নাকি সময়ের ব্যবধানে
দূরে ঠেলে দেবে আমাকে?

আমায় ভালবেসে চিরদিন
আমার জীবন চলার পথে
আলোক বর্তিকা হয়েই
পথ দেখিয়ে দিও,
তুমি আমারি থেকো চিরদিন ।

Thursday, January 2, 2020

এখন শ্বেতশুভ্র ভালোবাসা কামনা করি-Poem


"এখন শ্বেতশুভ্র ভালোবাসা কামনা করি"


Ekhon-ShetShubhra-valobasa-Kamona-kori

সেই তুমি আজও আমাকে ভালবাস
আমিও তোমাকে ভালবাসি ।
কিন্তু তবু আমরা দুজন আজ
দুজনার কতটা দূরে--- ।

সেই তুমি, যে আমার আঁধার জীবনে
ভালবাসার প্রদীপ জ্বেলেছিলে ।
তোমার সেই আলোতেইতো আজও
আমি পথ চলি নির্বিঘ্নে ।

সেই তুমি, আমাকে তোমারি স্বপনে
বিভোর করে রাখতে সারারাত,
এখনো আমি
তোমার স্বপনেই বিভোর থাকি,
তোমার স্বপনেই কেটে যায়
আমার সারারাত ।

সেই তুমি, যে আমারি হাতে হাত রেখে চলতে সারাক্ষণ,
এখনও যখন একা একা পথ চলি
মনে হয় তুমি আমারি হাত ছোঁয়ে আছো ।

সেদিন যখন তুমি আমার গালে
তোমার ঠোটের স্পর্শ একেছিলে
যখন তুমি আমাকে
তোমার বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলে,
তখন কি যে শিহরণ জেগেছিল দেহ-মনে ।

তোমার সেই স্পর্শ
আজও আমাকে ছুঁয়ে থাকে সারাক্ষণ ।
তোমার সেই স্পর্শ
আজও আমাকে শিহরিত করে বারবার ।

একসময় আমাদের ভালবাসায়
কাঁমনার গন্ধ ছিল ।
কিন্তু আজ আমাদের শ্বেতশুভ্র ভালোবাসা ।
এতে কাঁমনার কোন চিহ্ণ নেই ।

এখন ঠিক এমনই শ্বেতশুভ্র ভালোবাসা কামনা করি ।
যেখানে যৌনতার কোন ছোঁয়া নেই,
কামনার গন্ধ নেই ।
দু'জন দুই প্রান্তে, দূরে-বহুদূরে
যেখান থেকে শুধু ভালবাসা যায়
শুধুই ভালবাসা যায় ।।

স্মৃতিগুলি মনে নেই-Poem

"স্মৃতিগুলি মনে নেই"

Smritiguli-Mone-Nei

হয়ত মনে নেই,
ভুলে গেছো সেই দিনগুলির কথা,
সেই স্মৃতিগুলির কথা ।

শীতের সকালে শিশির-স্নাত ঘাস মাড়িয়ে
চলেছি কত তুমি-আমি ।
সকালের মিষ্টি রোদে খড়ের স্তুপে বসে
করেছি কত দুষ্টুমি,
শেষ বিকেলে পশ্চিমের আকাশ দেখে দেখে
করেছি কত গল্প,
পুকুর পাড়ে বসে
তোমাকে শোনায়েছি কত কবিতা ।

সেদিন সন্ধ্যায চমকে দেখেছিলাম
তুমি অভিসারে আমার কাছে এসেছিলে,
আমারি হাত টেনে ধরেছিলে,
নিরবে তোমারি বুকে ডেকেছিলে,
বলেছিলে,"চলো, ঐদিকে যাই,
নীল জোছনায় তারার সাথে করি খেলা ।"

সেদিন তোমার বনলতার মত চোখে
চোখ রেখে বুঝেছিলাম
ঐদু'টি চোখ যেন নেশায় ভরা ।

পূর্ণিমা রাতে সেদিনই প্রথম
তোমার হাতে রেখেছি হাত,
------ঠোঁটে ঠোঁট,
এক সময় জড়িয়ে নিয়েছি
আমার বুকের মাঝে ।

শ্রাবণ মেঘের দিনে-Poem


"শ্রাবণ মেঘের দিনে"

Shrabon-Megher-Dine

শ্রাবণের মেঘাচ্ছন্ন এক বিকেলে
আমার হাতে তোলে দিয়েছিলে তুমি
তোমার অবয়বখানি ।

হৃদয় ঘন্টায় সেদিন যেন
হঠাত্‍, ডং করে উঠেছিল ধ্বনি ।
সেই থেকে আজও আমি
শুধু তোমারি কথা ভাবি ।

বার বার দেখে নেই তোমার ছবি ।
এমন শ্রাবণ মেঘের দিনে
শুধু তোমার কথা পড়ে মনে,
তোমার মিষ্টি অবয়বখানি
বার বার ভেসে আসে
আমার দৃষ্টির সম্মূখে ।

মাঝে মাঝে অগুচরে দেখে নিই তোমাকে,
জানি না কোন জড়তায়
তোমার সামনে দাড়াতে পারি না ।

আমার স্মৃতিসৌধ দর্শণে ব্যর্থতা ও এর কারন

= আমার স্মৃতিসৌধ দর্শণে ব্যর্থতা ও এর কারন =


জাতীয় স্মৃতিসৌধ।  ছবি সংগ্রহ: Wikipedia

আজ 16 ই ডিসেম্বর 2012, মহান বিজয় দিবস । বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা 3 জন স্মৃতিসৌদ দর্শণের পরিকল্পনা করি । বিকাল 4 টাই আমরা আশুলিয়ার চারাবাগ থেকে রওয়ানা দেই । বাসে উঠার কোনো চান্স নাই । রাস্তাই জ্যাম, বাসে ভিড় , কোন রকমে বাসে উঠি । বাসে তিল ধারনেরও ঠাই নাই, এমনকি ছাদও খালি নাই । 
যাই হোক 5 ঘটিকায় নবীনগরে পৌছালাম । কিন্তু গেইটের কাছেই যেতে পরিনি । 1 হাত এগোয় তো 3 হাত পিছনে আসতে হয় । আধা ঘন্টা অনেক চেষ্টা করেও ঢুকতে পারলামনা । গেইটে দাড়িয়ে যেটা উপলব্ধি করলাম সেটা হল : 

মানুষের অসহনীয় ভোগান্তি । একেতো 2-3 কিলোমিটার জ্যাম তাছাড়া মানুষের গিজগিজ ভিড় । এতো মানুষের ভিড়ে আমরা ঢুকবো কি, মানুষ তো বের হতেই পারতেছে না । বিজয় দিবস উপলক্ষে গার্মেন্টস কারখানা ছুটি থাকাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের ও যেন ঈদের ছুটি । সবাই হুমড়ি খেয়ে এখানে জড়ো হয়েছে । যেসব মানুষ বিষেশ করে মেয়েরা আর কোন দিন এখানে অসবে কিনা সন্দেহ । কারন তারাই বেশি সমস্যাই পরেছে । অনেকেই শারীরিক লান্চনার ও শিকার হয়েছে । মেয়েদের এইসব লান্চনা আর দূর্ভোগ দেখে অনেক খারাপ লেগেছে । 

আমরা সবাই মা(দেশ)কে সম্মান দেখাতে এসে অনেক মা ও বোন কে এভাবে অসম্মান করছি ? 
ছিঃ / ধিক এইসব হীন মনের মানুষদের । 

যাই হোক এসব দেখে আর ঠিক থাকতে পারলাম না । তাই ফিরে আসলাম। আসতে গিয়ে ও আবার সেই সমস্যা, জ্যাম আর ভিড়ের কারনে কোন গাড়িতেই উঠতে পারলাম না । অনেকটা হেটে আসলাম তারপর . . কিছুটা পথ বাসের ছাদে এবং বাকিটা পথ পিক-আপ ভ্যান এ করে । ভ্যানের মাঝেও ভিড় , 1টা ভ্যান এ প্রায় 35 থেকে 40 জন মনুষ । 
নিজেকে কোরবানীর গরু মনে হয়েছে । কোরবানীর গরু যেমন পিক-আপ বা ট্রাকে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়া হয় ঠিক সে রকম। 
এই হলো আমার স্মৃতিসৌদ দর্শণের ব্যর্থ কাহীনি । 

সাভার স্মৃতিসৌদ এলাকায় যে যে সমস্যা চোখে পড়েছে : 
1. রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম, 
2. মানুষের ভিড়, 
3. স্মৃতিসৌদের 1 টি মাত্র প্রবেশ / বাহির ফটক, 
4. আমাদের মানবিক মূল্যবোধের বড়ই অভাব । 

এইসব সমস্যা সমাধানের উপায় : 

1. এখানে 1টা ফ্লাইওভার তৈরি করা, 
2. স্মৃতিসৌদের প্রবেশ/বাহির ফটক ন্যূনতম 4 টা করতে হবে, 
3. আমাদের মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ, 
4. ফটকের সামনের হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকান গুলো সরিয়ে ফেলা, এবং 
5. পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা ।